বিপিএলে প্রথম চার ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল খুলনা টাইগার্স। সেই দলটি হেরেই চলেছে। শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টানা তৃতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে এনামুল হক বিজয়ের দল। অন্যদিকে, প্রথম সাত ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছে জয়। তারা খুলনাকে হারিয়েছে পাঁছ উইকেট।
শেষ দুই ওভারে সিলেটের দরকার ছিল ১৯ রান। হাতে ছিল পাঁচ উইকেট। ম্যাচটা তখনও দুই দলের জন্যই জয়ের জন্য ওপেন ছিল। কিন্তু ১৯তম ওভারে রুবেল হোসেনকে বেদম মার মারেন রায়ার্ন বার্ল। এক ওভারে তিনটি ছক্কা আর একটি চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন এই জিম্বাবুইয়ান।
লক্ষ্য ছিল ১৫৪ রানের। টপ অর্ডারে সামিত প্যাটেল নয় বলে ১৩, নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ বলে ১৮, জাকির হাসান শুণ্য রানে আউট হলেও ওপেনিংয়ে ৫২ বলে ছয়টি চার আর তিনটি ছক্কায় ৬১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন আইরিশ হ্যারি টেক্টর।
অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৯ বলে ২৪। শেষটা হয় রায়ান বার্লের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। ১৬ বলে দুইশ স্ট্রাইকরেটে একটি চার আর তিনটি ছক্কায় ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন এই জিম্বাবুইয়ান।
খুলনার মার্ক দয়াল নেন ১৯ রানে তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার নাহিদুল ইসলাম আর সুমন খানের।
এর আগে এনামুল হক বিজয়ের ফিফটি ও হাবিবুর রহমান সোহানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের উপর ভর করে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তিন উইকেটে ১৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় খুলনা টাইগার্স।
শেরে বাংলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ওপেনার এভিন লুইস ১০ বলে ১২ রানে। তিনে নেমে দ্রুত রান তুলে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ২৬ বলে ৩২ রানের জুটি করেন আফিফ হোসেন। ১৬ বলে ২৪ রান করে বেনি হাওয়েলের এলবিডাব্লুর ফাঁদে পড়ে ফেরত যান আফিফ।
দলকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি এনে দিতে এরপর বাকি কাজ করেন এনামুল হক ও হাবিবুর রহমান সোহান। শুরুতে রয়ে-সয়ে পরে ঝড় তুলে দুর্দান্ত ফিফটি করেন এনামুল। ৫৮ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার। পাঁচটি বাউন্ডারি দু’টি ছক্কায় ইনিংস সাজান এনামুল। মাঝে ছয় বল খেলে এক রান করে উইকেট দিয়ে আসেন মাহমুদুল হাসান জয়।
এনামুল ও হাবিবুরের অপরাজিত জুটিতে ৬৭ বলে ৯৯ রান তোলে খুলনা। এটি এবারের বিপিএলে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি। শেষ তিন ওভারে ৫১ তোলেন তারা। হাবিবুর রহমান তিনটি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৪৩ রান করে।
Leave a Reply