April 23, 2024, 2:23 pm

বাঙালি জাতির অগ্নিকন্যা ও মধ্যমণি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা!

রাশিদা-য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।।

১৯৪৭-সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর নিভৃত পল্লীর আকাশে নেমে আসে উজ্জ্বল তারাটি, নাম তার হাসু- বঙ্গবন্ধুর নয়ন মনি- আলোকিত হয় তাঁর গোপালগঞ্জের টুঙ্গী পাড়ার বাড়িটি, হাসলো মায়ের কোল- জুড়ালো প্রাণ! ৭৫-টি ঝড়ো সময়- ২০ বার মৃত্যু দুয়ার থেকে ফিরে আসা অসীম সাহসী,বীর বিক্রমে পথ চলা অশুভ চক্রের রক্ত চক্ষুকে দু’পায়ে মাড়িয়ে বাঙালির জীবন উন্নয়নের রোল মডেল বঙ্গ কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের মহা সড়কে দাঁড়িয়ে অগ্রযাত্রার নেত্রী- তলা বিহীন ঝূড়ি হাতে আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ; উন্নত দেশ হিসেবে ও পিতার স্বপ্ন নিজের মধ্যে ধারণ করে সোনার বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সফলতার বীজ বুনে- আশার প্রদীপ জ্বেলে!

পিতা- মাতা, পরিবার-পরিজন হারানো বেদনায় নীল; ক্ষতবিক্ষত হয়ে তবুও তিনি শান্ত সাবলীল ঠিক যেন- শত যন্ত্রণা বুকে ধীরে বহে মেঘনা!অনেক কাজ এখনো বাকি তাই তিনি পর্বতের ন্যায় অবিচল,অসীম ধৈর্য্য নিয়ে আপন গতি পথে আসীন…একটি কথা তিনি বলেন “কিছু নেই আমার হারাবার- না আছে পাওয়ার।” তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে মন্থর কখনো দ্রুতলয়ে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে দেশ!

১৯৭৫-এর কাল রাত্রি জাতির জনক- বাঙালির প্রাণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণ সবকটি প্রদীপ নিভে গেল অকস্মাৎ; ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি মহাশ্মশান- সেদিন রাতেও সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক, ভোরের আলো ফুটে ওঠার পুর্বেই মুয়াজ্জিনের আযানের সঙ্গে সঙ্গে, চিরদিনের মতো অস্তমিত হলো স্বাধীনতা সূর্য; থেমে গেল বাঙালির প্রাণ বঙ্গবন্ধুর ঝাঁঝালো কণ্ঠ! থেমে গিয়েছিল গোলা বারুদের উত্তাল তাণ্ডবে- অপশক্তির বুলেটের ধোঁয়ায়! সব ব্যথা বুকে নিয়ে চোখের জল মুছে বলেছেন প্রমত্তা পদ্মার মত!

আশির দশকে শুরু তে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী হিসেবে সভাপতি নিযুক্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে। তিনি দলের দায়িত্ব নিয়ে তৎকালীন সরকারের সামরিক শক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন। সভাপতি নিযুক্ত এরপর শুরু হয় পথচলা সে পথ চলা অদ্যবধি বিরামহীন…প্রথমে তিনি জন সাধারণের উপরে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনমত গঠন এবং জনসাধারণের অধিকার নিয়ে কাজ করতে শুরু করেন ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য তিনি ১৯৭৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাঠরত অবস্থায় ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশ নেন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক হন।
তিনি স্কুল জীবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বাবা বঙ্গবন্ধু ছিলেন তাঁর প্রেরণার উৎস। ১৯৬২-তে ছাত্র অবস্থায় তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তাঁর নেতৃত্বে মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত গিয়েছিল। ১৯৬৬/৬৭ শিক্ষাবর্ষ অধ্যায়ন কালে কলেজ ইউনিয়ন এর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।

১৯৬৭ সালে বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালে ৭/৮ মাস মা- বোন রেহানা, শেখ রাসেল একই বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন। মা ফজিলাতুন্নেসা ও কন্যা শেখ হাসিনার কৌশলী দূরদর্শিতা মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই গৃহবন্দি অবস্থায় তাঁর প্রথম সন্তান জয় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ১৬-ই ডিসেম্বর পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্ত হন।

১৯৭৫ সালে ভয়াল কালরাত্রিতে তিনি বোন রেহানা সহ পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। পরবর্তীতে লন্ডন ও দিল্লিতে ৬-বছর নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়।
১৯৮১ সালে তাঁর অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে তাঁকে নির্বাচিত করা হয়। ১৯৯৬ সালে ১৪৬-টি আসনে জয় হয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেন এবং প্রথমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলেন। ১৯৭১-থেকে ২০০১ ছিল সবচেয়ে বেশি সফল সময় বাংলাদেশের ইতিহাসে।

ইতিহাসের পাতায় ১৯৭১-এর ১৬-ই ডিসেম্বর বাঙালির জনজীবনে গৌরবোজ্জ্বল এক অধ্যায়! বাংলার আকাশে গর্জে উঠেছিল সেদিন বাঙালির সূর্যসন্তান আর তাঁর সুযোগ্য আত্মজা আজও সৃষ্টি সুখের উল্লাসে লাল সবুজ পতাকা-এক টুকরো বাংলাদেশ, স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মানচিত্র হৃদয়ে ধারণ করে বন্ধুর পথ অতিক্রম করেছেন। উন্নয়নের ধারায়- সমৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে যাক সোনার বাংলাদেশ ও আমাদের আগামী- এই প্রত্যাশা তাঁর, সঙ্গে আছেন প্রায় ১৮ কোটি বাঙালি;
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু- জয়তু- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
২০২১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :