April 19, 2024, 4:07 pm

বিদায় ২০২২,

শেখ ইব্রাহিম বার্তা-সম্পাদক দৈনিক পদ্মা সংবাদ।

Welcome 2023 “Happy New Year”

বিদায় ২০২২,সুখ-দুঃখ,হাসি-কান্নায়,আনন্দ-অনুভবে জীবন থেকে চলে গেল আরেকটি বছর…বারটি মাস! স্বাগতম ২০২৩, অনাবিল আনন্দে সুখ-স্বাচ্ছন্দে ভরে উঠুক সংসার-তরী কানায় কানায়। শান্তির বার্তা বয়ে আনুক সকলের জীবনে। দিনরাত সময় কাটুক নির্বিঘ্নে; প্রভুর নৈকট্যে ক্ষমা ও দোয়ায় করুণা ধারায়!

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ,ঋতু পরিক্রমায় প্রকৃতিতে চলছে এখন শীতকাল। অনেকটা জেঁকে বসেছে শীত, কনকনে ঠান্ডায় হিমেল হাওয়ার অনুভব; ঘন কুয়াশার ধবল চাদর গায়ে উপভোগ করছে মানুষ প্রকৃতির এই নীরবতাকে।

থার্টিফার্স্ট নাইট- হ্যাপি নিউ ইয়ার সম্পর্কে
কিছু কথাঃ

খ্রিষ্টপূর্ব ১৯৬৬ সালে জুলিয়াস সিজার প্রথম ইংরেজি নববর্ষ বরন উৎসব পালন প্রথা চালু করেন। সূত্র মতে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার( খ্রিস্টানদের তথাকথিত ধর্ম যাজক) এর মাধ্যমে ইংরেজি নববর্ষ ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে। ৩১ ডিসেম্বর রাতকে থার্টি ফাস্ট নাইট বলা হয়। পশ্চিমাদের আনন্দ উৎসবের অন্ত নেই এদেশের মানুষও পিছিয়ে নেই। আতশবাজি,পটকা বাজি, ডিনার পার্টি, মদ অশ্লীলতা, গান- নাচ, জিনা- ব্যভিচার ও বেহায়াপনার জুড়ি নেই এই রাতকে কেন্দ্র করে।

একথা অনুধাবনীয় আমরা বাঙালি জাতি- বাঙালিদের রয়েছে আলাদা সংস্কৃতি রীতিনীতি ও ধর্মীয় অনুভূতি; ভাষার লড়াই স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ঐতিহ্যময় ইতিহাস!
৩ লক্ষ শহীদদের রক্তে শ্রমে-ঘামে অর্জিত স্বাধীনতা; সেই জায়গা থেকে বাঙালিদের পক্ষে ব্রিটিশ কালচার “হ্যাপি নিউ ইয়ার” উদযাপন শোভনীয় হতে পারে না।
তাছাড়া বাংলা ক্যালেন্ডার তো রয়েছেই আমাদের,তাই এ কথা সহজেই অনুমেয় ইংরেজি বর্ষ বরণ অর্থাৎ থার্টি ফাস্ট নাইট বা পহেলা জানুয়ারি নিউ ইয়ার… আনন্দ উৎসবে পালন- বাঙালি জাতিসত্তা থেকেও উচিত নয়।
সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশে ধর্মীয় অনুশাসন
মেনে চলা, বিধি-নিষেধ পালন করা সেই মোতাবেক জীবন যাপন করা প্রতিটি মুমিনের জন্য একান্ত কর্তব্য।

আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,”ইসলাম ছাড়া যে অন্য ধর্ম (ইসলামী রীতিনীতি) আমল করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। “সূরা আল ইমরান, আয়াত ৮৫
রাসুলুল্লাহ ( সাঃ) বিজাতীয় সংস্কৃতি নয় মুশরিকদের সাহায্যও তিনি গ্রহণ করতেন না। থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনের বিষয়ে বলতে গেলে অন্য একটি হাদিস উল্লেখযোগ্য, আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, একবার এক মুশরিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চাইলে নবীজি (সাঃ) বললেন, “তুমি ফিরে যাও- আমরা মুশরিকদের সাহায্য চাই না,প্রতিটি ধর্মেরই রয়েছে আলাদা রীতি-নীতি ধরন বা বৈশিষ্ট্য।”

আমরা ঘটা করে জন্মদিন পালন করি অথচ জন্মদিন মানেই একটি বছর চলে যাওয়া। জমকালো অনুষ্ঠান করে বিবাহ বা অন্যান্য উৎসব পালন করি তা যেমন ব্যয়বহুল তেমন ইসলাম সমর্থন করে না বরং যে বিবাহ যত কম খরচ সেই বিবাহতে বরকত বেশি। কেউ মারা গেলে আমরা অনেক বড় করে খানাপিনার অনুষ্ঠান করে থাকি সেটাও শরীয়ত সম্মত নয়। বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির একটি অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব যদি ধরি, মনে পড়ে রমনার বটমূলে পান্তা ইলিশ- রকমারি সাজ আনন্দ উৎসব কিন্তু এভাবে পালন করাও ধর্মীয় রীতিনীতির পরিপন্থী। কারণ ইসলাম ধর্ম শান্তির ও সমৃদ্ধির, সাধারণ এবং নিয়ম মাফিক জীবন যাপনের, যেখানে পৃথিবীর জীবন ক্ষণস্থায়ী তুচ্ছ ও অল্প কিছু দিনের এর বিনিময়ে রয়েছে অনন্তকালের সুখ শান্তি এবং জান্নাত।শুভ হোক আগামী দিন গুলো। স্বাগতম ২০২৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরও সংবাদ :